নীলফামারী প্রতিনিধি:
ডিমলা উপজেলায় অনিয়ন্ত্রিত বহিরাগতদের কারণে প্রতিটি গ্রামে ছড়াচ্ছে করোনাভাইরাস। বিচ্ছিন্নভাবে পাড়া-মহল্লায় নিয়মিত বহিরাগতদের আসা যাওয়া চলছে। জ্বর কাশী নিয়ে একাধিক এলাকায় রোগীরা কেউ কেউ পালিয়ে বেড়াচ্ছে। করোনা সন্দেহ হওয়ায় মানুষের মধ্যে বাড়ছে যেমন সংশয় তেমনি হয়তো বাড়বে সংক্রমণের ঝুকি।
তথ্য মতে, ০৭.০৫.২০২০ পর্যন্ত করোনা আক্রান্তদের সংখ্যা ডিমলা উপজেলায় ০৮ জন, জলঢাকা উপজেলায় ০৬ জন ডোমার উপজেলায় শূন্য । পার্শ্ববর্তী উপজেলার চেয়ে ডিমলা উপজেলায় করোনা সংক্রমন সবচেয়ে বেশী।
সচেতন মহল জানান, বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণ করতে না পারা ও স্বাস্থ্যবিধী না মানায় করোনা সংক্রমণ দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
সংক্রমণ ঠেকাতে শুধু প্রশাসন কিংবা চিকিৎসকই নন,
পদক্ষেপ নিতে হবে সবাইকে। এদিকে বহিরাগতদের চিহ্নিত করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিয়মিত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। তারপরেও তথ্য গোপন করে অনেকেই বিভিন্ন স্থানে অবস্থান করায় সংক্রমণের শঙ্কা ক্রমাগত বেড়েই চলছে।
ডিমলা আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. নিরঞ্জন কুমার রায় বলেন, তথ্য গোপন করে হয়ত অনেকেই হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসছেন, তাদের কারণেও চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা ঝুঁকির মধ্যে পড়ছে। ইতোমধ্যে তিনজন স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। তিনি করোনা প্রতিরোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সবার প্রতি আহবান জানান।
ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জয়শ্রী রানী রায় বলেন, আমরা করোনা সংক্রমন ঠেকাতে দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছি, পাশাপাশি সেনাবাহিনী, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি সহ সচেতনরা আমাদের সহযোগীতা করছে। তিনি ডিমলাবাসীকে সরকারী নির্দেশনা ও স্বাস্থ্যবিধী মেনে চলার অনুরোধ জানান।